জনাব এম হোসেন আলী পিতা- মরহুম তাহের মাহমুদ ১৯২৩ সালে ১ ফেব্রম্নয়ারী পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলাধীন পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পার-ভাঙ্গুড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসানয়নে এমএসসি ডিগ্রী লাভ করেন। পরবর্ততীতে করাচী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ১৯৪৯ সনে সাবেক পররাষ্ট্র বিভাগে যোদদান করেন। তিনি ১৯৫০-৫১ সনে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস ইনষ্টিটিউট আমত্মর্জাতিক আইন ক কুটনীতি বিয়ষ অধ্যায়ন করে। তিনি প্যারিসের ইনষ্টিটিউট অব ইন্টার ন্যাশনাল রিলেশন সন্স তেথে ফরাসভাষায় উচ্চতর ডিপেস্নামা লাভ করেন। তিনি তুরস্ক বেলজিয়াম,সৌদিআর,ব যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ড, মিয়ানমার, ও অস্ট্রালিয়াতে বিভিন্ন কুটনীতিক দায়িত্ব পালন করার পর ১৯৭০ সককোলকাতায় ডেটটি হাই কমিশনার নিযুক্ত হন । ১৯৭১ সনে মুক্তিযোদ্ধের সময় তিনি তাঁর মিশনের ৬৫জন কর্মকার্তা কর্মচারী ১৯৭১ সনের ১৮ এপ্রিল বাংলাদেশের আনুগত্য ঘোষনা করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনাতা সংগ্রামের এটা ছিল ঐতিহাসিক ঘটনা যা বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করছে। জনাব হোসেন আলী ভরতে বাংলাদেশ মিশনের প্রথম প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন এবং তিনি স্বাধীনতা ভাল পর্যমত্ম এই পদে কর্তব্যরত ছিলেন। ১৯৭২ সনের জানুয়ারীতে জনাব হোসেন আলী বাংলাদেশের তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের সচিব নিযুক্ত হন। ১৯৭২ সনের মার্চ মাসে তিনি অষ্ট্রেলিয়াতে বাংলাদেশের প্রথম হাই কমিশনার নিযুক্ত হন। এবং একই সাথে নিউজিল্যান্ড ও ফিজির বাংলাদেশের হাই কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে জানুয়ারীতে জনাব হোসেন আলী যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৭৬ থেকে ১৯৭৯ পর্যমত্ম জার্মানীতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। তার পওে তাঁকে কানাডায় হাই কমিশনার নিযুক্ত করা হয়। গভীর ধর্মপ্রাথ জনাব হোসেন আলী তাঁর নানাবিধ মানবিক গুনাবলীর জন্য দেশবাসীর স্মৃতির অমস্নান থাকবেন। তাঁর কর্তব্য পরায়নতা, তাঁর নিরহঙ্কার আচার-আচরণ ও অমায়িকতা তাঁকে সর্বজনীন সম্মান ও শ্রদ্ধার আসন প্রদান করেছেন। ১৯৮১ সনের ২ জানুয়ারী কানাডার অটোরিতে স্থানীয় সময ১২.২০ মিনিটে এই মহান বীর পরলোক গমণ করেণ। তাঁর ইমেত্মকালে জাতী একজন বীর মুক্তযোদ্ধা, প্রজাতন্ত্রেও নিবেদিত প্রাণ কর্মকর্তা এবং সত্যিকারের দেশ প্রেমিককে হারাণ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস